Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

প্রশিক্ষণ সংক্রান্ত পরামর্শ

 

 

ক. কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন
প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সারা দেশে মোট ৩,২৬৪টি কৃত্রিম প্রজনন উপকেন্দ্র/পয়েন্টের মাধ্যমে (ডিসেম্বর-২০১৪) দেশব্যাপী গবাদিপশুর কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। ২০১৩-১৪  অর্থবছরে গবাদিপশুর জাত উন্নয়নের জন্য প্রায় ২৯ লাখ ৭৪ হাজারটি গাভীকে কৃত্রিম প্রজনন করা হয়েছে। আলোচ্য অর্থবছরে গবাদিপশুর কৃত্রিম প্রজনন ফি ও ছাগি প্রজনন ফি বাবদ মোট ৬ কোটি ৫০ লাখ ৪০ হাজার ৭৭৭ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। এছাড়া দেশের প্রাণিজ আমিষের ঘাটতি পূরণের জন্য আবহাওয়া উপযোগী সংকর জাতের বিফ ক্যাটল উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি প্রকল্প চলমান আছে, যা দেশের মাংস উৎপাদন বৃদ্ধি ও জনপ্রতি মাংসের প্রাপ্যতা বাড়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।


খ. প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশনে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার  
প্রাণিসম্পদ বিভাগের কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশন করার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে এবং অধিদফতরের ওয়েবসাইটটি (www.dls.gov.bd) চালু রয়েছে। Local Area Network (LAN), e-livestock, online monthly/quarterly report  প্রদান, টেন্ডার, চাকরির বিজ্ঞপ্তি, বদলির আদেশ এবং অধিদফতর সংশ্লিষ্ট সর্বশেষ তথ্য ওয়েবসাইটে নিয়মিত দেয়া হচ্ছে। এছাড়া এসএমএস গেটওয়ে সিস্টেমের(SMS Gateway System) মাধ্যমে ডিজিস সার্ভিলেন্স কার্যক্রম চলমান আছে। এটি ব্যবহার করে অতি দ্রুত মাঠ পর্যায় থেকে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের একটি সার্ভিলেন্স কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে দ্রুত এ রোগ নির্ণয় ও নিয়ন্ত্রণের ভালো ফল পাওয়া যাচ্ছে।

 

গ. গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির চিকিৎসা প্রদান ও রোগ নিয়ন্ত্রণ
অধিদফতরের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দফতর এবং জেলা প্রাণি হাসপাতালগুলো থেকে কৃষক ও খামারিদের রুগ্ণ গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির চিকিৎসা, টিকা প্রদান এবং বিভিন্ন পরামর্শ সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। এ সেবা কার্যক্রম সেবা কর্মীদের মাধ্যমে গ্রামীণ পর্যায় পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়েছে। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে প্রায় ৬ কোটি ২৭ লাখ রুগ্ণ পশু পাখিকে চিকিৎসা সেবা ও ১৭ কোটি ৭১ লাখ পশুপাখিকে রোগ প্রতিরোধের জন্য টিকা প্রদান করা হয়েছে।

 

ঘ. চিড়িয়াখানার জীববৈচিত্র্য উন্নয়ন ও চিত্তবিনোদন
ঢাকা চিড়িয়াখানার প্রাণি বৈচিত্র্য উন্নয়নে এবং স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের চিত্তবিনোদনে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর নানাবিধ কার্যক্রম এরই মধ্যে গ্রহণ করেছে। এ চিড়িয়াখানায় বর্তমানে ১৪৩ প্রজাতির ২৩৭৪টি পশুপাখি ও অ্যাকুয়ারিয়াম ফিশের মাধ্যমে চিড়িয়াখানাটির জীব বৈচিত্র্য সমৃদ্ধশালী করা হয়েছে। গত ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ঢাকা চিড়িয়াখানায় প্রায় ৭ কোটি ৮৮ লাখ টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। তাছাড়া ঢাকা ও রংপুর চিড়িয়াখানা দুটিকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ডিজিটাল সার্ভে করা হয়েছে। সামাজিক কার্যক্রম স্বরূপ অটিস্টক শিশুসহ সব প্রকার প্রতিবন্ধী শিশু-কিশোরদের চিড়িয়াখানায় প্রবেশ ফি সম্পূর্ণ মওকুফ করা হয়েছে।


ঙ. মানবসম্পদ উন্নয়ন ও কারিগরি শিক্ষার প্রসার
ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেনারি কলেজে ৫ বছর মেয়াদি ভেটেনারি গ্র্যাজুয়েশন কোর্সের শিক্ষা কার্যক্রম ২০১৩-১৪ শিক্ষা বর্ষ থেকে শুরু হয়েছে। এ কলেজে প্রতি শিক্ষা বর্ষে মোট ৬০ জন ছাত্রছাত্রী ভর্তি করা হচ্ছে এবং তাদের শিক্ষা কার্যক্রম নিয়মিতভাবে চলছে। ‘সিরাজগঞ্জ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ স্থাপন’ প্রকল্পের আওতায় ভেটেরিনারি শিক্ষার প্রসারে নতুন একটি সরকারি ভেটেরিনারি কলেজ প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম চলমান আছে। এছাড়াও প্রাণিসম্পদ খাতে সাব-প্রফেশনাল জনবল সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘এস্টাবলিসমেন্ট অব ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলোজি প্রজেক্ট’ প্রকল্পের আওতায় ৫টি প্রাণিসম্পদ ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট স্থাপনের কার্যক্রম চলমান আছে। ওই প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতি শিক্ষা বর্ষে ২০০ জন ছাত্রছাত্রী প্রাণিসম্পদের ওপর ডিপ্লোমা কোর্সে অধ্যয়ন করতে পারবে।


চ. ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি প্রজেক্ট (NATP)
বিশ্ব ব্যাংকের আর্থিক সহায়তায় প্রাণিসম্পদ সম্প্রসারণ সেবা উপজেলা থেকে গ্রাম পর্যন্ত বিকেন্দ্রীকরণ এবং খামারি/কৃষকের চাহিদামত প্রযুক্তি নির্ভর সেবা কার্যক্রম সম্প্রসারণের উদ্দেশে গ্রামে গ্রামে Common Interest Group (CIG), Producer Organization (PO), ইউনিয়ন পর্যায়ে Community Extension Agent for Livestock (CEAL) এবং উপজেলা পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ বিভাগের প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি করার জন্য NATP প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় ১,২৮০ জন সিল (কমিউনিটি এক্সটেনশন এজেন্ট ফর লাইভস্টক) ইউনিয়ন পর্যায়ে খামারিদের বিভিন্ন প্রকার চাহিদামাফিক সেবা প্রদান করছে। ৭৩২টি ফিয়াক (ফার্মারস ইনফরমেশন অ্যান্ড এডভাইজ সেন্টার) হতে বছরে প্রায় ২.৩০ লাখ খামারির বিভিন্ন সমস্যা সমাধান বিষয়ক পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।

 

ছ. প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম
প্রাণিসম্পদের অধিদফতরের সার্বিক তত্ত্বাবধানে বেকার যুবক ও যুব মহিলা, দুস্থ পরিবার, ভূমিহীন, প্রান্তিক চাষিদের আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে আয়ের সুযোগ সৃষ্টি ও গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৯৬-৯৭ থেকে ১৯৯৯-২০০০ পর্যন্ত ‘প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কার্যক্রমে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্প (১ম পর্যায়)’-এর মাধ্যমে ২৫.০৪ কোটি টাকা ও ২০০০-০১ থেকে ২০০৪-০৫ পর্যন্ত ‘প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কার্যক্রমে আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে দারিদ্র্য দূরীকরণ প্রকল্প (২য় পর্যায়)’-এর মাধ্যমে ৮.৬৭ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ২০০৩-০৪ থেকে ২০০৫-০৬ সন পর্যন্ত ‘দারিদ্র্যবিমোচনে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম (ছাগল, ভেড়া ও হাঁস-মুরগি) কর্মসূচি’-এর মাধ্যমে ৪৪০টি উপজেলায় ৩২.৯৮ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। নতুন প্রণীত কার্যনির্দেশিকা-২০১১ অনুসারে পুনঃক্ষুদ্রঋণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান আছে।